বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি ক্লাউস শোয়াব (Klaus Schwab) প্রথম ‘৪র্থ শিল্প বিপ্লব’ শব্দটি ব্যবহার করেন। এখন শব্দটি বহুল আলোচিত এবং ব্যবহৃত। ১ম শিল্পবিপ্লব হয়েছিল ১৭৮৪ সালে। তার মধ্য দিয়ে সভ্যতা পেয়েছিল কৃষি ও কুটির শিল্প থেকে যন্ত্র আর কারখানা শিল্পে রূপান্তর। ২য় শিল্প বিপ্লব শুরু হয় ১৮৭০ সালে। যার ফলাফল তেল আর বিদ্যুত নির্ভর ব্যাপক উৎপাদন। ১৯৬০ সালের পর শুরু হয় তৃতীয় শিল্প বিপ্লব যাতে সংযোজিত হয় তথ্য প্রযুক্তি আর স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন,পারমাণবিক শক্তি, টেলিভিশন, কম্পিউটার, জেটপ্লেন, প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি। একবিংশ শতাব্দির প্রথম থেকেই সভ্যতা দেখলো প্রযুক্তির আর এক অভাবনীয় উল্লফন। যাকেই এখন অভিহিত করা হচ্ছে ৪র্থ শিল্প বিপ্লব হিসেবে। প্রশ্নটা স্বাভাবিক ৪র্থ শিল্প বিপ্লব আসলে কি এবং সভ্যতাকে তা কি দিয়েছে? ৪র্থ শিল্প বিপ্লব দৃশ্যত:ই প্রযুক্তিকে ভৌত (Physical), ডিজিটাল (digital) ও জৈব (organic) এই তিনটি ক্ষেত্রেই বিস্তৃত করেছে। ভৌত ক্ষেত্রে পাওয়া গেছে দ্রুতগতির ইন্টারনেট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যা ব্যবহার করে তৈরী করা হয়েছে আরও সংবেদনশীল ও নমনীয় রোবট, ত্রিমাত্রিক মুদ্রন পদ্ধতি ( 3 D Printing) যা ব্যবহৃত হচ্ছে টারবাইন ডিজাইন থেকে শুরু করে সকল পার্টস ডিজাইন, মডেল প্রস্তুতসহ সকল সংযুক্ত উৎপাদনে ( Additive manufacturing), নতুন ধরণের আরও হালকা, শক্তিশালী, নবায়নযোগ্য, পরিবেশবান্ধব সহজে বহনযোগ্য পদার্থ আবিষ্কার হচ্ছে, তৈরী হয়েছে স্বয়ংক্রিয় ইলেকট্রিক গাড়ী, অতি উচ্চগতির ট্রেন, উচ্চ প্রযুক্তির শিল্প-কারখানা, সবুজ শক্তি, আর প্রযুক্তি সংমিশ্রণের ক্ষমতা। কম্পিউটার আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে সভ্যতা প্রবেশ করেছে ডিজিটাল যুগে। এই ক্ষেত্রটি এখন প্রযুক্তির একটি স্বতন্ত্র ক্ষেত্র। ৪র্থ শিল্পবিপ্লব ভৌত ও ডিজিটাল ক্ষেত্রের মধ্যে সেতু বন্ধন ঘটিয়েছে। দ্রুত গতির ইন্টারনেট ঘনিষ্ট সম্পর্ক স্থাপন করেছে উৎপাদন, সেবা আর মানুষের মধ্যে। মানুষ দ্রুত ডিজিটাল ক্ষেত্রের প্রযুক্তির মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। মুদ্রা আদানপ্রদান থেকে শুরু করে চাহিদা-সরবরাহের সমন্বয় ঘটানোর জন্য উদ্ভাবিত হচ্ছে ব্লকচেইন (Blochchain)প্রযুক্তি। দ্রুতই যুক্ত হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের আবিষ্কার যা গবেষণা, গণনা ও ইন্টারনেট প্রযুক্তিক্ষেত্রে তৈরী করবে এক যুগান্তকারী উল্লম্ফন। জৈব প্রযুক্তি ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের আর একটি অংগ। জীন-প্রকৌশল ও জীনম প্রযুক্তি চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, কৃষি, পশু ও মৎস সম্পদের অভাবিত উন্নয়নের সহায়ক হয়ে উঠেছে। জীনম প্রযুক্তি এতটাই এগিয়েছে যে, এখন একটি ‘জিনোম সিকোয়েন্সিং’ মাত্র কয়েক ঘন্টায় করে ফেলা সম্ভব, যেখানে মানুষের সম্পূর্ণ ‘সিকোয়েন্সিং’ এর ক্ষেত্রে সময় লেগেছিল ১০ বছর এবং ব্যয় হয়েছিল ২.৭ বিলিয়ন পাউন্ড। কৃত্রিম জীববিজ্ঞান ( ‘সিনথেটিক বায়োলজি’) এগিয়েছে অনেক দূর। বৃহৎ ‘ডাটা ম্যানেজমেন্ট’ প্রযুক্তি চিকিৎসা বিজ্ঞানে সঠিক রোগ নির্ধারণ ও ঔষধ নিরূপণে প্রভূত ভূমিকা রাখছে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, ৪র্থ শিল্প বিপ্লব খুলে দিয়েছে প্রযুক্তির এক সমন্বিত সম্ভাবনার দ্বার। এই বিপ্লব উৎপাদন শক্তি বিকাশকে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই প্রযুক্তি বিপ্লব অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজ ও ব্যক্তি সকল ক্ষেত্রেই নতুন অবস্থা ও প্রভাব ফেলছে। স্বাভাবিকভাবেই, এটা সকল ক্ষেত্রেই এক বিশেষ চ্যালেঞ্জ তৈরী করছে সেটাও বিবেচনার আর একটি দিক।
অর্থনীতির ক্ষেত্রে যে বিষয়টি প্রধান বিবেচ্য তাহলো, প্রযুক্তি আর উদ্ভাবন এমন এক স্তরে পৌঁছেছে যে, তা উৎপাদন ক্ষেত্রে এক উল্লফন তৈরী করবে। নতুন প্রযুক্তি শিল্প-কারখানায় কাজের ধরণে এক নাটকীয় পরিবর্তন ঘটাবে। নতুন ধরণের দক্ষতার প্রয়োজন হবে যা স্বয়ংক্রিয়তার সংগে সাযুজ্যপূর্ণ। এর ফলে, অদক্ষ শ্রমিকদের কর্মহীনতা ও ছাঁটাই, উৎপাদনের প্রাচুর্য অথচ ভোগের সামর্থহীনতার সংকট তৈরী করবে। কাজের ধরণ দ্রুত পাল্টাবে, তার সংগে তাল না মেলাতে পারলে, আন্ত:দেশীয় বৈষম্য বাড়বে, যার প্রবণতা বিশ্বব্যাপী দৃশ্যমান। এই প্রযুক্তি যত দ্রুত সম্ভব পুরোনো প্রযুক্তি প্রতিস্থাপনের প্রবণতা তৈরী করবে, বাস্তবে তা করার জন্য সামাজিক সম্পর্ক দ্রত পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে। ভোক্তার প্রত্যাশা প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন হবে ও তার সংগে পাল্লা দিয়ে তা পূরণের মধ্যে সংকট তৈরী হবে। বিপুল পরিমান ‘ডাটা’র পুঞ্জিভবন ও তার বিশ্লেষণ নতুন শেখার ইতিবাচক বাস্তবতা তৈরী করবে। এই প্রযুক্তি বৈশ্বিকভাবে মানুষে মানুষে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা বাড়াবে। এই প্রযুক্তি বিপ্লবের বড় প্রবণতা হলো, প্রতি মুহূর্তে এর বিকাশ আর পরিবর্তন। এটাও একটা চ্যালেঞ্জ। এই প্রযুক্তির আরও একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো, প্রতিটি মানুষ দ্রুত তার মতামত প্রকাশের ক্ষেত্র পেয়ে যাচ্ছে। ফলে, যে কোন ক্ষমতাসীন সরকারের বেশী বেশী করে স্বচ্ছতার মধ্যে থেকে দ্রুত বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিকাঠামোকে পরিবর্তনের অপরিহার্যতার প্রয়োজন পড়বে।
সামাজিক ক্ষেত্রে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, পুরোনো ধ্যান ধারণা থাকা অবস্থায় দ্রুত পরিবর্তনশীল নতুন এই আধুনিকতাকে কিভাবে গ্রহণ ও আত্মস্থ করা যাবে-তার সংকট। এই প্রযুক্তির অন্যতম নেতিবাচক দিক হলো ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা। সামাজিক মূল্যবোধের অভাব প্রকট। ‘ডিজিটেলাইজেশন’ ‘অহংকেন্দ্রিক’ সমাজের বহি:প্রকাশ Ô A wealth of information created a poverty of attention’ তথ্যের প্রাচুর্য মনোযোগের দারিদ্র তৈরী করেছে’। ৪র্থ শিল্পবিপ্লব শুধুমাত্র ‘আমরা কি করি’ তার পরিবর্তন করেনি, ‘আমরা কে’ তারও পরিবর্তন করেছে। এ বিপ্লব এ যুগের ‘ব্যক্তি’ পরিচয়ের বিভিন্ন দিক যেমন- আচার-আচরণ, নিজস্ব গোপনীয়তা, মালিকানা, ভোগ, কাজের সময়, বিশ্রামের সময় সব কিছুর উপরই পরিবর্তনের প্রভাব ফেলেছে-নতুন প্রজন্মের উপর। ফলে বাড়ছে প্রজন্মগত ব্যবধান।
৪র্থ শিল্পবিপ্লব সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সাধারণভাবে যে প্রভাব ফেলতে পারে তা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি আরও গভীর চিন্তা ও মনোযোগের দাবী রাখে। ঐতিহাসিকভাবে দেখা যায়, ১ম ও ২য় শিল্পবিপ্লব গোটা ইউরোপ জুড়ে পুঁজিবাদী বিপ্লবের ধাত্রী হিসেবে কাজ করেছে। ১৭৮৯ এর ফরাসী বিপ্লব আর ১৮৫০ এর পর ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লবের সময়কাল ১ম ও ২য় শিল্পবিপ্লবের সময়কালের কাছাকাছি। গোটা ইউরোপ থেকে সামন্তবাদকে বিদায় করার সে কাল এ দু’টি শিল্পবিপ্লব দ্বারা প্রভাবিত। কিন্তু, সেই বিপ্লবই আবার পরবর্তী রুশবিপ্লবের ঐতিহাসিক পটভূমি তৈরী করে। পুঁজিবাদের সংকট থেকেই জন্ম নেয় ১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধ। ১ম বিশ্বযুদ্ধের প্রসব বেদনা থেকে জন্ম হয় রুশবিপ্লবের। বিংশ শতাব্দির তিরিশের দশকে মহামন্দার মধ্য দিয়েই ২য় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা। ২য় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত জনগণ ও রাষ্ট্র নাৎসীবাদ বিরোধী যুদ্ধে যে নির্ধারক ভূমিকা পালন করে তার জন্য তাদের চরম মূল্য দিতে হয়। ২য় বিশ্বযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিশ্বপুঁজিবাদ নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবার সুযোগ পায়। তবে, তার নেতৃত্বের কেন্দ্র পরিবর্তন হয়ে তা ইউরোপ থেকে চলে যায় আমেরিকায়। তারই প্রেক্ষাপটে শুরু হয় ৩য় শিল্পবিপ্লব। কিন্তু পুঁজিবাদ তার অন্তর্নিহিত সংকট থেকে মুক্তি পায়নি। প্রযুক্তির উল্লম্ফন বা বিপ্লবও এই সংকট থেকে তাকে মুক্তি দেয়নি। ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের পরও ২০০৮ সাল থেকে বিশ্বমšদা এটা স্পষ্ট করে দেয় যে, কোন প্রযুক্তিগত উল্লম্ফনই পুঁজিবাদকে তার মৌলিক সংকট নিরসন করতে পারে না। ঐতিহাসিকভাবে এটা বলা যায়, পুঁজিবাদের বিকাশের বিভিন্ন স্তরে পূর্বতন শিল্পবিপ্লবগুলি যেমন সামন্তবাদের অবসানের জন্য ভূমিকা রেখেছে, তেমনি সকল শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি আবার পুঁজিবাদের স্বার্থে শ্রমজীবি মানুষকে শোষণের হাতিয়ার হিসেবে কাজে লেগেছে-কারণ প্রযুক্তির মালিকানা থেকেছে পুঁজিপতিদের হাতে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উৎপাদিকা শক্তিকে বিকশিত করেছে সত্যি, কিন্তু উৎপাদন সম্পর্ক পাল্টায়নি ফলে প্রযুক্তিও শোষণের হাতিয়ার হিসেবে কাজে লেগেছে। । উৎপাদন সম্পর্ক না বদলালে, প্রযুক্তির সুফল অধিকাংশ মানুষের কাছে পৌঁছায় না। এই উৎপাদন সম্পর্ক পাল্টানোটাই হলো বিপ্লব। পুঁজিবাদ তার অন্তর্নিহিত সংকটের হাত থেকে রেহাই পেতে এবং তার মুনাফার ক্ষেত্র বিস্তৃত করার জন্য ও অব্যাহত রাখার জন্য প্রযুক্তির উন্নয়নও বাড়িয়ে চলে। তাই প্রযুক্তি যখন শোষণের হাতিয়ার হয়ে ওঠে, তখন মানুষ শোষকের সাথে সাথে প্রযুক্তিকেও বিরোধীতা করতে চায়। ২য় ও ৩য় শিল্পবিপ্লব যখন আধুনিক যন্ত্রায়ন ও অটোমেশন প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করে, তখন বিপুল বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়। ফলে, মানুষ বেকারত্বের জন্য প্রযুক্তিকেও দায়ী করে কিন্তু প্রযুক্তি থেমে থাকে না।
সকল শিল্পবিপ্লবের সুফল পৃথিবীর সকল দেশ-জাতি এবং তার অন্তর্গত জনগণের কাছে পৌঁছেনি। কারণ আগেই বলা হয়েছে, এই প্রযুক্তির মালিকানা ছিল পুঁজিপতিদের হাতে। তাই দেশে দেশেও বৈষম্য তৈরী হয়েছে-আজ যা বিশ্বব্যাপী প্রকট হয়ে উঠেছে। উন্নত পুঁজিবাদী দেশগুলি উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের মধ্য দিয়ে, তাদের সাম্রাজ্যবাদী শোষণের নতুন মাত্রা তৈরী করেছে। ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের ফলে, সাম্রাজ্যবাদ বহুকথিত ‘ডিজিটাল’ সাম্রাজ্যবাদের রূপ নিয়েছে। তাই, ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের হাতিয়ার সাম্রাজ্যবাদের শোষণের হাতিয়ারের সহায়ক ও সমার্থক হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
কিন্তু এটা সুস্পষ্টভাবে বুঝতে হবে, শোষণের মাত্রা যতই গভীর হোক, প্রযুক্তির এই উল্লম্ফন উৎপাদিকা শক্তিকেও নতুন উন্নত স্তরে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে, উৎপাদন সম্পর্ক পাল্টানোর যে লড়াই অর্থাৎ বিপ্লবের অন্তর্নিহিত শক্তি তাতে বাড়ে। বিপ্লব পরবর্তীকালে এই প্রযুক্তিই সমাজ প্রগতির ও অগ্রগতির হাতিয়ার হয়ে ওঠে। তাই উৎপাদন সম্পর্ক বদলে ফেলার যে লড়াই যত ত্বরান্বিত হবে, শিল্প ও প্রযুক্তি বিপ্লবের সুফল তত মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবে। ৪র্থ শিল্পবিপ্লব তাই সম্ভাবনা ও সংকট দু’টোকেই সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে। পুঁজিবাদের উৎপাদন সম্পর্কের মধ্যে থেকে গেলে প্রযুক্তি শোষণের হাতিয়ার হবে। আর সমাজের বিপ্লবী রূপান্তরের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত সমাজের অগ্রগতির জন্য সহায়ক হবে আবার এই প্রযুক্তি বিপ্লবই।
প্রাসঙ্গিকভাবে এটা বলতে হবে, ৪র্থ শিল্পবিপ্লব মার্কসবাদী বিপ্লবীদের সামনে সমাজ বিশ্লেষণ, শ্রেণীসংগ্রামের রূপ ও ধরণ, সংগ্রামের কৌশল, রাজনৈতিক দিক নির্দেশনা স্থির করা প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রেই নতুন করে চিন্তা, পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্তের বাস্তবতা তৈরী করে ফেলেছে। ছক বাঁধা চিন্তা, কাজের ধরণ, সংগ্রামের প্রকৃতি রেখে এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা যাবে না। এটা আজ বিশেষ মনোযোগের দাবী রাখে।
তারিখ: ৩০ এপ্রিল, ২০১৯।