করোনা প্রাদুর্ভাবের পর বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতির নয়াবিন্যাস ও করণীয়

Sharing Helps!

বিশ্বব্যাপী করোনার বিরুদ্ধে মানবজাতির লড়াই যত কঠিন হয়ে উঠছে, বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতির বাস্তবতা তার সংগে মিলিয়ে জটিলতর হচ্ছে। করোনা সংক্রমনের শুরু থেকেই করোনাকে রাজনৈতিকভাবে চিহ্নিত করার প্রয়াস ছিল- এখন নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে তা আরও প্রকট হয়ে উঠছে। এটা শুধু বাকযুদ্ধে সীমাবদ্ধ নেই ‘ঠান্ডা যুদ্ধে’ রূপান্তরিত হচ্ছে।

পৃথিবীর সকল বিজ্ঞানীরা তাঁদের মেধা আর শ্রম সন্নিবিষ্ট করে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন করোনার ভ্যাকসিন আর অসুধ আবিষ্কারের জন্য। শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন সকল মানুষ এগিয়ে আসছেন বিশ্বব্যাপী। কিন্তু, তার বিপরীতে ঘনীভূত হচ্ছে মুনাফালোভী, ক্ষমতালোভী বৈশ্বিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের ষড়যন্ত্রমুখী প্রয়াস।

 করোনা প্রাদুর্ভাবের পর পৃথিবীর কাছে পুঁজিবাদের অসহায়ত্ব, অমানবিকতা, মুনাফা আর লোভের কাছে মানুষের জীবনের মূল্যহীনতার দৃষ্টিভংগী স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাস্যকর অবিমৃশযকারিতা, অবৈজ্ঞানিক দৃষ্টভংগী, এই বৈশ্বিক সংকটকে মোকাবিলা করা বা নেতৃত্ব দেবার অপারগতা তাঁর নিজের সমর্থকদের মধ্যেই হতাশার সৃষ্টি করছে। তিনি চীনকে করোনা প্রাদুর্ভাবের জন্য দায়ী করার মধ্য দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে শুধু দায়ী নয় অকার্যকর করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। অর্থ সাহায্য বদ্ধ ঘোষণা, বিশ্ব স্বাস্থ্য থেকে বেরিয়ে আসার হুমকি, বিশ্ব স্বাস্থ্য এসেম্বলীতে চীনের বিরুদ্ধে সকল দেশকে এক করে করোনা সঙ্গকটকে মোকাবিলা বাদ দিয়ে, নতুন রাজনৈতিক ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’ শুরু করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এই করোনাকালে ভিয়েতনাম, কিউবা, লাওস, উত্তর কোরিয়া,  চীন সহ সমাজতন্ত্র অভিমুখী দেশসহ  কিছু কিছু ছোট দেশ যারা সমাজতান্ত্রিক নয় কিন্তু কল্যান রাষ্ট্রের মৌলিক দৃষ্টিভংগীকে সামনে রেখে এগিয়েছে তাঁরা সফল হয়েছে। স্বাস্থ্যব্যবস্থার শুধু প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয়, কোন দৃষ্টিভিংগীতে তা পরিচালিত হবে তাও যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তাও চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। এবং সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা কতটা প্রয়োজন তা পৃথিবীর কাছে আবার নতুন করে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। বিগত ঠান্ডাযুদ্ধের তথাকথিত সমাপ্তি এবং তার  মধ্য দিয়ে সোভিয়েতের পরাজয়ের প্রচারকে সামনে এনে  সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শকে পৃথিবী থেকে বিদায় করার আগ্রাসী তৎপরতা, নয়া উদারনীতিবাদের সর্বগ্রাসী আক্রমণ তরুণ প্রজন্মের কাছে সমাজতন্ত্র এই কথাটা মুছে দেবার বা তাকে এক দানবীয় ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল। পাশাপাশি চীন, ভিয়েতনাম, কিউবার গৃহীত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সমাজতান্ত্রিক নয়, পুঁজিবাদে প্রত্যাবর্তন এই প্রচারটাও উঠে আসে। আর তা আসে দুদিক থেকে। এক, পুঁজিবাদী বুদ্ধিজীবীরা তাত্বিকভাবে প্রমাণ করার চেষ্টা করে, এই গৃহীত নীতি যতই কার্যকর হোক তা সমাজতান্ত্রিক নয়। বরং পুজিবাদী ব্যবস্থা বলেই তা সফল হচ্ছে। দুই, সমাজতন্ত্রকে সমর্থন করেন তাঁদের দিক থেকেও।

বিশ্ববিখ্যাত পন্ডিত সামির আমিনের একটি উদ্ধৃতি দিয়ে এই প্রসংগে আলোচনা শুরু করতে চাই। তিনি জীবনের  শেষ পর্যায়ে এসে চীন সম্পর্কে তাঁর দীর্ঘ বিশেষণ দিয়েছিলেন যা Samir Amin on China শিরোনামে African Agenda পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। তার উপসংহারে তিনি বলেছিলেন,

“There is no need to hurry and join the financial globalised system, which is the only guarantee for Washington to maintain the dollar’s exclusive privilege. Moreover, that whole pattern of globalisation is already in deep crisis, which offers an opportunity for outsiders. Remaining out opens room for a possible construction of alternative independent regional systems with the perspective of creating better conditions for the advancement of an alternative non-hegemonic globalisation. Simultaneously world capitalism is incompatible in the long run with the existence of non-capitalist entities, and even just relatively independent entities. Remaining out of financial globalisation is an important weapon in your hands; do not offer the weapon to your enemy!”

তিনি চীনের গৃহীত নীতির অনুপুংখ ব্যাখ্যা করেছেন। বৈশ্বিক ক্ষেত্রে নেওয়া চীনের বিভিন্ন বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন, চীনের গৃহীত নীতির কার্যকারিতা কতটা তা বলেছেন, কিন্তু চীনকে পুঁজিবাদী দেশ বলেননি। বরং বিশ্ব পুঁজিবাদী সংকটে চীনকে non-hegemonic globalization এ ভূমিকা রাখার কথা বলেছেন।

সম্প্রতি LINK.MEDIUM. COM এ Rainer Shea নামে একজন লেখকের এর লেখা  ‘The incorrect and harmful claim that China has “betrayed” socialism’  নামে একটি প্রবন্ধ বেরিয়েছে যাতে বিভিন্ন বামপন্থীদের পক্ষ থেকে চীনের বিরুদ্ধে যা বলা হয় তার একটা ব্যখ্যা দেওয়া হয়েছে ও  প্রবন্ধটিতে সে বিষয়ে লেখক তাঁর নিজস্ব বক্তব্য রেখেছেন।

 (আমি সেই লেখাটি  পড়ার জন্য  একটা ভূমিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলাম, যার অনেক কথাই এই  বর্তমান প্রবন্ধ থেকে নেওয়া।)  

 কিন্তু, এই সময়কালে পুঁজিবাদের গভীর সংকটে  প্রশ্ন উঠতেই পারে, আদি পুঁজিবাদ কেন সংকটে?  চীন  ভিয়েতনাম, কিউবা যদি পুঁজিবাদী দেশ হয়ে সফল হয় তাঁরা ব্যর্থ  কেন? একি তাঁদের নেতৃত্বের দূর্বলতা না পুঁজিবাদী ব্যবস্থারই মৌলিক দূর্বলতা। নাকি তাঁদের দাবীতে যাদেরকে পুঁজিবাদী আখ্যা দেওয়া হচ্ছে তাঁরাই সভ্যতার বিকল্প। তাঁদের লক্ষ্যাভিমুখী পথই সভ্যতার টিকে থাকার, এগিয়ে যাবার পথ। লক্ষ্য নির্দিষ্ট থাকলে ভুল ত্রুটি শুধরে নেওয়া যায়।  চীন, ভিয়েতনাম, কিউবার বিরুদ্ধে যে সমালোচনা বা অভিযোগই থাক না কেন, তাঁরা নিজেরা বলছেন তাঁরা সমাজতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন। তাঁরা সমাজতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়িয়ে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বলছেন। তাঁরা যদি পুঁজিবাদীই হন তাহলে তো তাঁরা সরাসরিই তা করতে পারেন। তাহলে গোটা বিশ্বকে সহজে ভাগ বাটোয়ারা করা যায়। কেউ বলবেন এটা দুই পুঁজিবাদী শক্তির মধ্যকার দ্বন্দ। যুক্তিটাকি মেলে? মেলে না। তাত্বিকভাবেও না বা সাধারণ যুক্তিতেও না।   তাছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের সকল পুঁজিবাদী (সাম্রাজ্যবাদি) শক্তিগুলির নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ তাঁরা দৃশ্যমানভাবে সরিয়ে রেখে, সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের সংগে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও মতাদর্শগত লড়াইএ কার্যকরভাবে নামে। তাঁদের অর্থাৎ পুঁজিবাদের নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ তাঁরা সামলে নেবার ক্ষেত্রে কিছুটা সফল হয়। এ ক্ষেত্রে তাঁদের বড় সহায় হয় চীন-সোভিয়েত মতাদর্শগত দ্বন্দের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া প্রক্রিয়ায় বিশ্ব কমিউনিস্ট শক্তির বিভক্তি এবং তাঁর পরিণতিতে পরবর্তিকালে, কমিউনিস্ট শক্তিগুলির মধ্যে তা শত্রুতায় পরিণত হওয়া। এ প্রক্রিয়া শুধু  কমিউনিস্ট শক্তিগুলির ক্ষতি করেনি দেশে দেশে সকল প্রগতিশীল অন্যান্য শক্তিগুলিকে হীনবল করেছে, সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোকে একের বিরুদ্ধে অন্যকে ব্যবহার করতে পেরেছে বিশ্ব পুঁজিবাদ। তার পরিণতি কি তা এখন ইতিহাস। এর মধ্যে সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর গৃহীত আভ্যন্তরীণ ভুল ত্রুটিও রয়েছে। এই বিভক্তি  বিশ্ব পুঁজিবাদকে কতটা অনুকূল পরিস্থিতি দিয়েছে সেটাই উল্লেখ করা হল। এই প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে। এই প্রবন্ধে চীন, ভিয়েতনাম, কিউবায় গৃহীত পদক্ষেপগুলির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারার  কমিউনিস্ট ও বাম শক্তিগুলির যে মূল সমালোচনা তাঁর জবাব দেবার চেষ্টা হয়েছে, যা চিন্তার খোরাক যোগাবে সন্দেহ নাই। এর সংগে প্রসংগক্রমে একটি বিষয় যুক্ত করা যায়। একবার এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির একজন প্রতিনিধিকে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম আপনাদের গৃহীত নীতির ব্যাপারে অনেক বাম শক্তির সমালোচনা আছে, এটা কি আপনারা জানেন? তিনি বলেন, অন্য দেশের বাম কেন আমাদের নিজেদের মধ্যেই বিতর্ক আছে এবং এটাকে আমরা সুস্থতা হিসেবে দেখি। তিনি তাঁদের বিস্তৃত ব্যাখ্যা দিলেন, তার মধ্যে একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছিলেন, সমাজতান্ত্রিক বিনির্মানের সময় একটি বিষয় খুব মৌলিকভাবে দেখা দেয় তাহলো সম্পদের মালিকানা, রাষ্ট্রের অবস্থান, উৎপাদন শক্তির অবস্থা ও তার ভিত্তিতে উৎপাদন সম্পর্ক নির্ধারণ। বিভিন্ন দেশের আর্থ-সামাজিক স্তর বিভিন্ন হওয়ার ফলে, গৃহীত নীতিও বিভিন্ন হতে  পারে। ভিয়েতনাম বিপ্লবের পর দশ বছর পার্টি উৎপাদন ব্যবস্থার সব মালিকানাই রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নিয়ে আসে। ব্যক্তিমালিকানাকে প্রায় নিষিদ্ধ করার পর্যায়ে নেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা দেখলেন তাঁদের উৎপাদন শক্তির বিকাশ এই উৎপাদন সম্পর্কের সংগে সংগতিপূর্ণ নয়। গৃহীত উৎপাদন সম্পর্ক উৎপাদন শক্তির বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁরা অনেক বিতর্কের মধ্য দিয়ে একপা পিছে আসলেন। তাঁরা ব্যক্তি মালিকানার বিষয়টাও বিবেচনায় নিলেন। ধীরে ধীরে বাইরের পুঁজি আমন্ত্রন ইত্যাদি প্রক্রিয়া শুরু হয়। তার ফলে কিছু উপসর্গ দেখা দেয় যেমন দূর্নীতি, ব্যক্তিমালিকানার প্রতি মোহ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় দেখা দেয়। পার্টি কঠোরভাবে এটাকে রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত লড়াই হিসেবে গ্রহণ করে কিন্তু কখনই এটাকে শুধুমাত্র পার্টি বা রাষ্ট্রকাঠামো দিয়ে তাঁরা মোকাবিলা করতে চাননি। তাঁরা এটাকে জনগণের সম্পৃক্তি এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত করণীয় হিসেবে নিয়েছেন এবং এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে দেখেন। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লেনিন তাঁর প্রস্তাবিত নেপ এবং বাম পন্থার বিপদ বোঝাতে বহুবার এই কথা তুলেছেন।

প্রসংগক্রমে আর একটি বিষয় বলা যায়। করোনাকালে এটা আজ স্পষ্ট পুঁজিবাদ বিশেষ করে তার গৃহীত নয়া উদারতাবাদী নীতি আজ চরম সংকটের মুখে। পুজিবাদের সমর্থক বিশ্ব বিখ্যাত অর্থনীতিবিদরাও আজ প্রকাশ্যে এ কথা বলছেন। এটা আজ স্পষ্ট সামনের দশক পরিবর্তনের দশক এবং তা সমাজতন্ত্র অভিমুখে। বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে এই সমাজতন্ত্র অভিমুখী শক্তি বিকশিত হবে। আজ প্রয়োজন বৈশ্বিকভাবে এবং দেশে দেশে সকল বামশক্তিগুলির সকল পার্থক্য সত্বেও ন্যূনতম ঐক্যের ক্ষেত্র বের করা।

করোনা আক্রমনের মধ্য দিয়ে এবং তার পরে বিশ্ব পুঁজিবাদ নিজেকে রক্ষার জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে, এমনকি সামরিক সংঘর্ষকেও উড়িয়ে দেওয়া যায়না। ভূ-রাজনীতি নতুন মেরুকরণের দোরগোড়ায়। এটাকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিস্থিতি বললে বাড়িয়ে বলা হবে না। এ সংকট দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং শ্রমজীবি মানুষ, কৃষক নিম্ন মধ্যবিত্ত এমনকি মধ্যবিত্ত মানুষও দারিদ্র সীমার নীচে নেমে যাবে। পুঁজি আর সম্পদ আরও ঘনীভূত হবে, ধনী আরও ধনী হবে। বিভিন্ন ধরণের পুঁজি ( আমাদের মতো দেশের ক্রোনি পুঁজি সহ) রাষ্ট্রকে তাঁদের স্বার্থে ব্যবহার করবে। তার আলামত স্পষ্ট। কর্পোরেট পুঁজি কে বাঁচাতে মূলতঃ প্রণোদনা ঘোষিত হচ্ছে। তাতে সাধারণ মানুষের হিস্যা সামান্য লোক দেখানো। এই বাস্তবতায় আক্রান্ত মানুষের পাশে ঐক্যবদ্ধভাবে এবং দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হবে। নিজেদের পার্থক্যকে মেনে নিয়েই ঐক্যের পথ তৈরি করতে হবে। গত শতাব্দি অনেক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে এটাই শিখিয়েছে। সংকীর্ণতার স্থান নেই।

আজ বৈশ্বিকভাবেও এই উদ্যোগ একান্ত প্রয়োজন। দেশীয় ক্ষেত্রেও প্রয়োজন।

একজন বিশ্ববিখ্যাত মার্কসীয় তাত্বিক  Giovanni Arrighi তাঁর বই  “The Long Twentieth Century”  বইএর উপসংহারে লিখেছেন

“Finally, to paraphrase Schumpeter, before humanity chokes ( or basks) in the dungeon  (or paradise) of a post-capitalist world empire or world market society, it may well burn up in the horrors (or glories) of the escalating violence that has accompanied the liquidation of the Cold War world order. In this case, capitalist history would also come to an end but by reverting permanently to the systemic chaos from which it began six hundred years ago and which has been reproduced on an ever-increasing scale with each transition. Whether this would mean the end just of capitalist history or of all human history, it is impossible to tell.”

তিনি এটা লিখেছেন করোনা প্রাদুর্ভাবের আগে। করোনার মধ্য দিয়ে এই প্রশ্ন আজ আরও শাণিত হয়ে উঠেছে। যারা পৃথিবীটাকে পাল্টাতে চান, তাঁদের কে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, করণীয় কি?

সবাইকে সব বিষয়ে একমত হতে হবে তা নয়, মূল শত্রু চিহ্নিত করলে ঐক্য সহজ হয়। যত ন্যূনতমই হোক ঐক্যের বিষয়গুলো খুঁজে দেখা এখনই জরুরি।


Sharing Helps!